সূচিপত্রঃ
১। ভূমিকা
২। পেঁপের উপকারিতা
৩। পেঁপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
৪। পেঁপে আথ্রাইটিস উপশম করে
৫। পেঁপে নারীদের রজঃস্রাব সমস্যায় উপশম করে
৬। পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে
৭। পেঁপে বার্ধক্যে দৃষ্টিশক্তিহীনতা উপশম করে
৮। পেঁপে শরীরের যন্ত্রণা উপশম করে
৯। পেঁপে ব্রণ উপশম করে
১০। পাকা পেঁপের উপকারিতা জানলে খালি পেটে রোজ খাবেন
১১। পেঁপের অপকারিতাঃযাদের জন্য পেঁপে খাওয়া ক্ষতিকর
১২। অতিরিক্ত পেঁপে খেলে পেঁপের কিছু অপকারিতাও রয়েছে
১৩। বুক ধড়ফড় করা হতে পারে
১৪। অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে
১৫। কিডনিতে পাথর হতে পারে
১৬। হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত হতে পারে
১। ভূমিকাঃ পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা
পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা কত তা কি জানেন? ইহা রোগের মহৌষধ। পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক, তাই ইহা রোগের মহৌষধ। আমাদের দেশের গ্রাম বাংলার একটি খুব পরিচিত ফল পেঁপে। এই ফল খেতে খুব সুস্বাদু। এই ফলের পুষ্টিগুণ যেমন বেশি, তেমনি শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফলটি খুবই উপকারী। এই পেঁপে কাঁচা-পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। এটা বারোমাসি ফল। ফলটি বছরের প্রায় সব সময়ই কম বেশি পাওয়া যায়।
১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ৭.২ গ্রাম শর্করা, ক্যালোরি রয়েছে ৩২ কিলোগ্রাম, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট বা চর্বি থাকে ০.১ মিলিগ্রাম। পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়টিই রয়েছে । এই ফল নানা রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে ।
পেঁপের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণ। জানেন পেঁপে আমাদের শরীরে কী কী উপকার করে?
শরীরের জন্য পেঁপের চেয়ে বেশি উপকারী আর কোনো খাবার নেই। পেঁপেতেই উপশম হয় বিভিন্ন অসুখ। ওষুধ ছাড়াই বিভিন্ন রোগ ভাল হয়ে যায় শুধু পেঁপে থেকেই। এমনকি ক্যানসারও।
তাই বলা হয়ঃ
“পেঁপে লাগাও, ডাক্তার তাড়াও”
পেঁপে রোপন করে নিয়মিত খেলে কোনো রোগ হতে পারে না, তাই কোনো ডাক্তারেরও প্রয়োজন হবে না। তাই আমাদের সকলের পেঁপে রোপন করা উচিত।
পেঁপেতে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। জানলে অবাক হবেন পেঁপে খেলে শরীরের মারাত্মক সব রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই ফলকে ‘মহৌষধ’ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আরো জানুনঃ
পেঁপের অনেকগুলো শারীরিক উপকারিতা রয়েছে যেমনঃ হৃদযন্ত্র ভালো রাখা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা, হজমের সমস্যা দূর করা। পেঁপের গুণ ও দোষগুলো কী, সেগুলো চলুন জেনে নিই-
২। পেঁপের উপকারিতাঃ
এই ফল খেতে অনেক সুস্বাদু। এই ফলের ১০০ গ্রামে ৩৯ গ্রাম ক্যালরি থাকে। পেঁপেতে কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, প্রোটিন, ভিটামিন এ,বি,সি,ডি আছে। এছাড়া পেঁপেতে পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস ও অ্যালবুমিন এনজাইম থাকে।এটা শত শত বছর ধরেই স্বীকৃত যে, পেঁপে অনেক রোগ উপশমে কার্যকর। এই ফল হজমের জন্য খুবই উপকারি। পেঁপের জুস লাগালে অনেক ক্ষেত্রে পোকা মাকড়ের কামড়, অল্প পোড়ায় রক্ষা পাওয়া যায়।
পেঁপে কসমেটিকস তৈরিতেও বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই পেঁপে লিভার ও ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে, অন্ত্রের ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। পেঁপে খেলে শরীর সতেজ হয় ও জীবনী শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। পেঁপে পাকস্থলীর অতিরিক্তি এসিড দূর করে, তাই যারা গ্যাস্ট্রিক ও বুক জ্বালায় ভুগছেন, তাদের জন্য খুব উপকারি। পেঁপে বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি আদর্শ খাবার। পেঁপে কাচা বা পাকা যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পেঁপের আরো উপকারিতাগুলো জানি চলুন-
৩। পেঁপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপেতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও, পেঁপে গাছের মূল ও ফুল কিডনি রোগ, ব্রংকাইটিস ও জন্ডিস সারায়।
৪। পেঁপে আথ্রাইটিস উপশম করে : বেশ কিছু গবেষণায় জানা গেছে, পেঁপেতে থাকা কাইমোপ্যাপিন নামের এনজাইম ওসটিওআথ্রাইটিস ও রিউমেটয়েড রোগ উপশম করে।
৫। পেঁপে নারীদের রজঃস্রাব সমস্যায় উপশম করে : যেসব নারীর অনিয়মিত রজঃস্রাব হয়, তাদের জন্য পেঁপের জুস উপকারি। এক্ষেত্রে কাঁচা বা পাকা পেঁপে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। এটি ‘হট ফুড’ হিসেবেও স্বীকৃত কারণ এই ফল শরীর উত্তপ্ত করে ।
৬। পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে : পেঁপেতে প্রচুর ভিটামিন ই, সি ও ফলেট থাকায় মল ত্যাগে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে। কাঁচা পেঁপে ও তার জুস হজমে সহায়তা করে। পেঁপেতে থাকা আঁশ বাওয়েল মুভমেন্ট স্বাভাবিক রাখে। এতে করে মল ত্যাগের সমস্যা উপশম হয়।
৭। পেঁপে বার্ধক্যে দৃষ্টিশক্তিহীনতা উপশম করে : পেঁপে বার্ধক্যে দৃষ্টিশক্তিহীনতা উপশম করে তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়া জরুরি। এই ফলে থাকা বিটা ক্যারোটিন নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
৮। পেঁপে শরীরের যন্ত্রণা উপশম করে : পেঁপেতে থাকা কাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন এনজাইম শরীরের যন্ত্রণা উপশম করে। শরীরের কোথাও পুড়ে গেলে পেঁপের নির্যাস ব্যবহার করে স্বস্তি পাবেন।
৯। পেঁপে ব্রণ উপশম করে : বয়োঃসন্ধিকালে বা মুখমণ্ডলে ময়লা জমার কারণে যে ব্রণ সৃষ্টি হয়, তা উপশম করে। নিয়মিত পেঁপে খেলে আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে। এছাড়া পেঁপের ভেতরের অংশসহ মাস্ক হিসেবে এটি মুখে ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হয়।
১০। পাকা পেঁপের উপকারিতা জানলে খালি পেটে রোজ খাবেনঃ
পেঁপেতে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। জানলে অবাক হবেন পেঁপে খেলে শরীরের মারাত্মক সব রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই ফলকে ‘মহৌষধ’ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে পাকা পেঁপে কাজ করে। চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে এবং ভিটামিন সি ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধির প্রতিরোধক। এ ছাড়াও পেঁপেতে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই রয়েছে, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাকৃতিকভাবে পটাশিয়ামের উৎস হলো পাকা পেঁপে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পটাশিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে এই যৌগ। এ ছাড়া অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যায় অনেক নারীই ভোগেন। এমনটা হলে ডায়েটে পাকা পেঁপে রাখতে পারেন। সমস্যা দূর হবে।
এ ছাড়াও পাকা পেঁপে খেলে আরও অনেক উপকার মিলবে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, পেঁপে মুখের রুচি বাড়ায়। সেইসঙ্গে ক্ষুধা বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। আর পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। হজমে সাহায্য করে এই ফল।
পাকা পেঁপেতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার থাকায় তা অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করে। পাশাপাশি, বিপাক হারও বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও যারা ওজন কমাতে ডায়েট মেনে খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের জন্যও ভালো পাকা পেঁপে। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের প্রাকৃতিক উৎস পাকা পেঁপে চোখের জন্যও উপকারী।
পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং একাধিক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। সেই সঙ্গে পেঁপে কোলাজেন সংশ্লেষে সাহায্য করে তাই সকালে পেঁপে খেলে ত্বককে ভালো রাখার পাশাপাশি উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে, যা ত্বকের জন্য তা খুবই কার্যকর।
অনেকেই পেঁপের নাম শুনলেই খেতে চান না । কিন্তু রোজ সকালে খাবারের সময় খালি পেটে যদি পেঁপে খান, তাহলে তা শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে, যা শরীরে একাধিক উপকার করবে।
পেঁপে খেয়ে দিন শুরু করলে সারা দিনে আপনার এনার্জির অভাব হবে না কারণ পেঁপেতে আছে প্রাকৃতিক শর্করা, একাধিক ভিটামিন এবং খনিজ।
নিয়মিত পেঁপে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কারণ পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
নিয়মিত পেঁপে খেলে চোখের পক্ষেও উপকারী। চোখ ভালো থাকে, এমনকি চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকেও মুক্তি হয়।
পেঁপেতে থাকে ফোলাতে যা মুড ভালো রাখতে ও মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার বানাতে সাহায্য করে।
পেঁপেতে প্যাপাইন উৎসেচক থাকে, যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। তাই পেঁপে খেলে হজম ভালো হয় ।
পেঁপে খালি পেটে দীর্ঘদিন খেলে ওজন কমবেই।
পেঁপেতে থাকা ফাইবার এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। আরো জানুনঃ
১১। পেঁপের অপকারিতাঃ যাদের জন্য পেঁপে খাওয়া ক্ষতিকর
পেঁপের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের কম বেশি জানা আছে। কাচা হোক বা পাকা হোক পেঁপে একটা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। পেঁপেতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে । এখন পেঁপে সারা বছরই পাওয়া যায়। সকাল আর দুপুরের খাবারের বিরতিতে পেঁপে খেতে পারেন। পেঁপে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে, এছাড়া ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেঁপে শরীরের জন্য অনেক বেশি ভালো হলেও কিছু ক্ষেত্রে পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে।
১২। অতিরিক্ত পেঁপে খেলে পেঁপের কিছু অপকারিতাও রয়েছে যেমনঃ
শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেঁপে কিন্তু গর্ভবতী নারীদের জন্যও ক্ষতিকর। পেঁপে খেলে গর্ভপাতের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও গর্ভবতী নারীর সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে পেঁপে এমন একটি ফল যা এ সময়ে বাদ দেওয়া উচিত। ল্যাটেক্স মিষ্টি ফলের মধ্যে থাকে, যা জরায়ুকে সংকোচন করতে পারে, যার ফলে ঘন ঘন প্রসাব হয়।
পেঁপেতে যে প্যাপেইন রয়েছে, তা ঝিল্লিকে দুর্বল করে দিতে পারে। এছাড়া পেঁপের বীজ, পাতা, শিকড় গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আধা-পাকা পেঁপেতে এ সমস্যা হয়।
পেঁপের কালো বিচিগুলোতে টক্সিক এনজাইম কারপাইন থাকে, যা মস্তিষ্কে অসাড়তা তৈরি করে কার্ডিয়াক ডিপ্রেশন বা প্যারালাইসিস তৈরি করে শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
কাঁচা পেঁপের রস বিষাক্ত ও ক্ষতিকর, যার নির্যাস শরীরে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। এটি পান করলে বদহজম, বিষক্রিয়া ও অ্যাবডোমিনালে ব্যথা হতে পারে।
এছাড়াও আরো কিছু সমস্যা হতে পারে যেমনঃ
১৩। বুক ধড়ফড় করা হতে পারে:
পেঁপে খাওয়া হার্ট সংক্রান্ত অসুখের ঝুঁকি কমাতে পারে, তবে আপনি যদি এরইমধ্যেই অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে পেঁপে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে পেঁপেতে অ্যামিনো অ্যাসিড, সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড অল্প পরিমাণে রয়েছে, যা মানুষের পাচনতন্ত্রে হাইড্রোজেন সায়ানাইড তৈরি করতে পারে।
১৪। অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে:
পেঁপেতে কাইটিনেস নামক এনজাইম থাকায়, অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও পেঁপে থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এনজাইম ল্যাটেক্স এবং এ জাতীয় খাবারের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। যার ফলে হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং চোখে পানি আসে। পেঁপের গন্ধেও অনেকের আবার সমস্যা হতে পারে।
১৫। কিডনিতে পাথর হতে পারে:
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যদি ভিটামিন সি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা হয় তবে ক্যালসিয়াম অক্সালেটের কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ফলে পাথরের আকার বাড়িয়ে প্রসাবে সমস্যা তৈরি হয়।
১৬। হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত হতে পারে:
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য পেঁপে একটি উপযুক্ত ফল মনে করা হয় কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু যারা এরইমধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।কারণ মিষ্টি জাতীয় ফলে অ্যান্টি-হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজ-হ্রাসকারী প্রভাব রয়েছে। এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে বিপজ্জনক স্তরে নিয়ে যেতে পারে, যার ফলে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা, এবং দ্রুত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
পেঁপের অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সুবিধা আছে, তাই ইহা গ্রহণ করা উচিত। পেঁপে আপনার পুষ্টি স্তরের উন্নতির জন্য একটি মূল্যবান ঔষধ হতে পারে, তাই পেঁপে এখনই আপনার দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে ব্যবহার করুন এবং এর অবিশ্বাস্য উপকারিতাগুলি উপভোগ করুন।